বিশ্বায়নের এই সময়ে বাংলাদেশের অবস্থান সমুন্নত রাখা ও দেশকে স্বনির্ভরতার পাশাপাশি উন্নত এবং উচ্চতর অবস্থানে গমনের ক্ষেত্রে প্রকৌশলগত তথা কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নাই। দেশে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত তথা প্রকৌশলী এবং কর্মমুখী দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০১০ সালে "ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজী এন্ড টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (আই.টি.টি.ই)" নামে বেসরকারি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হয়। গতানুগতিক পাঠদান পদ্ধতির পাশাপাশি পরিচালনা পর্ষদ, অধ্যক্ষ, শিক্ষক ও কর্মচারীদের সমন্বয়ে সৃজনশীল, নৈতিক মূল্যবোধ ও সামাজিক শিক্ষার মাধ্যমে অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি শিক্ষার্থী নিজেদেরকে দেশের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলছে। এর ফলশ্রুতিতে ইতোমধ্যে অত্র প্রতিষ্ঠানটি সারা বাংলাদেশের মধ্যে একটি মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে নিজের স্থান করে নিয়েছে। পাশাপাশি সেরা ফলাফলের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৬ সাল থেকে অত্র প্রতিষ্ঠানটি দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের জন্য বিশ্বব্যাংকের STEP এর আওতায় এসে আন্তর্জাতিকভাবে নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করে নিয়েছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের অবস্থান থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত হওয়ার গৌরবজনক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। দেশের এই গৌরবময় অর্জনকে সমুন্নত রাখার নিরন্তর প্রচেষ্টার সঙ্গে আই.টি.টি.ই প্রকৌশলী এবং কর্মমুখী দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টিতে যথাসাধ্য চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এছাড়াও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার দেশে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিতের হার ২০৩০ সাল ও ২০৪০ সালের মধ্যে বৃদ্ধির জন্য যে লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করেছে তা বাস্তবায়নে আই.টি.টি.ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
"বিশ্বায়নের প্রযুক্তি নির্ভর এই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশের কারিগরি বা কর্মমুখী শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। যার ফলে দারিদ্র্য ও বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে সচেষ্ট হচ্ছে অপার সম্ভাবনাময়ী তরুণ যুব সমাজ। দারিদ্র্যের নিম্ন সীমায় থাকা মেধাবী শিক্ষার্থীরা খুঁজে পাচ্ছে তাদের আত্মকর্মসংস্থানের ক্ষেত্রসমূহ। নিজেদেরকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হচ্ছে। বাংলাদেশের সুনাম ছড়িয়ে দিচ্ছে বিশ্ব দরবারে।
এরই ধারাবাহিকতায়, কর্মমুখী শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে এবং কারিগরি শিক্ষার অসীম গুরুত্ব তুলে ধরতে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর অনুমোদনে ২০১০ সালের ১১ মে প্রতিষ্ঠিত হয় পাবনা জেলার স্বনামধন্য বেসরকারি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠান “ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজী এন্ড টেক্সটাইল ইনিজিনিয়ারিং (আই.টি.টি.ই)”। শিক্ষার্থীদের সেরা ফলাফল, অভিজ্ঞ ও দক্ষ শিক্ষকমন্ডলী দ্বারা হাতে কলমে শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেধাশক্তি ও ব্যবহারিক দক্ষতা বৃদ্ধির কাজে সফলতা এবং পর্যাপ্ত অবকাঠামো থাকার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতিষ্ঠানটি ২০১৬ সাল থেকে বিশ্বব্যাংকের STEP –এর আওতায় পাবনার একমাত্র বেসরকারি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠান হিসেবে দরিদ্র্য ও মেধাবী ছাত্র এবং সকল ছাত্রীকে বৃত্তি প্রদান করে আসছে। এছাড়াও চার (০৪) বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করে মেধাস্থানে শীর্ষে থাকা শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি হিসেবে “ Academic Excellence Award ” প্রদান করছে।
কেবল লেখাপড়াই নয়, এর পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দেশের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিষ্ঠানটির প্রয়াস প্রসংশনীয়। এছাড়াও বিনোদনের জন্য রয়েছে বাৎসরিক শিক্ষা সফর, বার্ষিক বনভোজন, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা। যা শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু চিন্তাধারা ও পারস্পরিক সহযোগিতার মনোভাব সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
এ বছর প্রতিষ্ঠানটি দশম বর্ষপূর্তি করে এগারতম বর্ষে পদার্পন করছে। পাশাপাশি পাবনার শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা পরতিষ্ঠান হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতির সাথে জড়িত সকলের প্রতি আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি এবং জাতীয় শিক্ষাক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারবে বলে আশাবাদ জ্ঞাপন করছি।"
Developed by: IT Softbd Solutions
Site was last updated: 2022-05-12